বিশ্বকাপে শেষ ওভারে নাটকীয় জয়

কথা উঠেছে, আগামী বিশ্বকাপে নাকি ‘ছোট’দের ছেঁটে ফেলা হবে। কিন্তু এ বিশ্বকাপে বেশির ভাগ রোমাঞ্চ-উত্তেজনা তো উপহার দিচ্ছে ছোটরাই! আজ যেমন হোবার্টে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে যে ম্যাচ উপহার দিল, তাতে কী নেই? উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, শিহরণ-নানা মসলায় ভরা দুর্দান্ত এক ‘ককটেল’! তবে হাড্ডাহাড্ডি এ লড়াইয়ে শেষ হাসি আইরিশদের। জিম্বাবুয়েকে ৫ রানে হারিয়ে শেষ আটে যাওয়ার দাবিটা জোরালই করল আয়ারল্যান্ড।

‘তোমাদের প্রেরণা কিন্তু এই আয়ারল্যান্ড’- ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করার আগে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের কানে কি এই মন্ত্র পড়ে দিয়েছিলেন কোচ ডেভ হোয়াটমোর? চার বছর আগে বেঙ্গালুরুতে ইংলিশদের বিপক্ষে ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড তো আইরিশদের দখলেই। তবে একই দলের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে কেন পারবে না?

শুরুটা অবশ্য একদমই ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ১৬.৪ ওভারে ৭৪ রানেই পড়ে গেল ৪ উইকেট। জিম্বাবুইয়ানদের সামনে যখন বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের চোখ রাঙানি, তখনই নিজের ‘ক্লাস’ চেনালেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। সঙ্গে অসাধারণ সমর্থন এল শন উইলিয়ামসের কাছ থেকে। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে এল ১২৫ বলে ১৪৯ রান। এ জুটিই পাহাড় টপকানোর আশা দেখাল জিম্বাবুয়েকে। কুসাকের বলে ফেরার আগে টেলরের ব্যাট থেকে এল ১২১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়লেন উইলিয়ামস। কেভিন ও’ব্রায়েনের বলে ফেরার আগে উইলিয়ামসের সংগ্রহ ৯৬ রান।
ম্যাচটা একপর্যায়ে জিম্বাবুয়ের হাতেই চলে এসেছিল। ২২ বলে দরকার ছিল ৩৫ রান। হাতে ৪ উইকেট। সেখান থেকে সমীকরণ দাঁড়াল ১২ বলে ২৬ রান, হাতে ২ উইকেট। ৪৯ তম ওভারে খেলা জমিয়ে দিলেন তাওয়ান্দা মুপারিওয়া। ২ চার ও ১ ছয়ে ওই ওভারে উঠল ১৯ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান, জিম্বাবুয়ে তুলতে পারল ১ রান। ইনিংস থামল ৩২৬ রানে। আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট কুসাকের দখলে।

এর আগে এড জয়েসের সেঞ্চুরি আর অ্যান্ডি বলবার্নির ৯৭ রানের ওপর দাঁড়িয়ে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়ে আয়ারল্যান্ড। ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচসেরা জয়েস। বিশ্বকাপে অপর একটি ম্যাচ প্রোটিয়া বনাম পাকিস্তান সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন!

Related posts

Leave a Comment